কম্বোগুলোতে বাবার সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের পাঞ্জাবি, মেয়ের সঙ্গে মায়ের কুর্তি কিংবা পরিবারের সবার একই রকম পোশাক নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফ্যাশন হাউসগুলো এমন তথ্যই জানাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য পোশাকের পাশাপাশি ‘মেলানো পোশাক’ বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালোই। যদিও এবারের ঈদের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় অনেক ফ্যাশন হাউস। ত
এবার পোশাক নিয়ে খানিক দ্বিধায় রয়েছে মানুষ। একদিকে চৈত্রের গরম, অন্যদিকে উৎসবে পোশাকের আয়োজন জাঁকালো না হলে আবার জমবে না। রংও থাকতে হবে উজ্জ্বল। আবার থাকতে হবে আরামে। এ তো আসলেই উভয়সংকট।
কেউ ত্রস্ত হাতে কাটছেন কাপড়, কেউ ব্যস্ত সেলাইয়ে, কেউ আবার সদ্য বানানো পোশাকটিকে ভাঁজমুক্ত করে তুলে রাখতে চালাচ্ছেন ইস্তিরি। রমজান মাসে রাজধানীর টেইলার্সগুলোর চিরচেনা চিত্র এটি। এবারও তার তেমন ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের আগে নির্দিষ্ট দিনে অর্ডারদাতাদের পোশাক বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত কারিগরেরা। তবে কাজের ব্যস্তত
‘যেই শার্টটা ৩০০ টাকায় কিনলাম, এইটা শোরুমে গেলে হাজারের নিচে পাইতাম না। শার্টের গায়ে তো ফুটপাত বা শোরুম লেখা নাই। তাইলে বেশি দাম দিয়া শোরুম হাঁকানোর দরকার কী?’ রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে গতকাল শুক্রবার ঈদের কেনাকাটা করতে আসা তরুণ আসাদুর রহমান এভাবেই জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
ঈদের পোশাক কেনা হয়ে গেছে? এবার চিন্তা ঈদের সাজ নিয়ে। এর মধ্য়েই কি ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট স্ক্রল করা শুরু করে দিয়েছেন কীভাবে সাজবেন তারই রেফারেন্স খুঁজতে? এই সুযোগে জানিয়ে রাখি, ঈদে যদি আনারকলি কিনে থাকেন, তাহলে সাজতে পারেন বলিউড তারকা ক্যাটরিনার মতো।
‘কয়েক বছর আগেও ঈদবাজারে সবাই জমকালো কাপড় খুঁজত। কিন্তু আজকাল দেখতেছি, মানুষ হালকা কাজের আরামদায়ক কাপড় বেশি কিনে।’ বলছিলেন রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের জেসমিন শাড়িজ-এর কর্ণধার জাকির হোসেন। একই রকম কথা জানান রাজধানীর আরও কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, মানুষের রুচি এখন অনেক বদলে গেছে।
ঈদুল ফিতর কয়েক বছর ধরেই গ্রীষ্মকালে পড়ছে। এবার গ্রীষ্মকালে না হলেও ঠিক চৈত্রের শেষ ভাগে। ফলে গরম থেকে রেহাই মিলবে না। তবে উৎসব বলে কথা, নতুন কেনাকাটা ও সাজসজ্জা কোনোটারই কি কমতি রাখা যায়? তবে যেহেতু আবহাওয়া উত্তপ্তই থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে উৎসবের পোশাক হওয়া চাই আরামদায়ক। এমন পোশাক বেছে
‘আলিয়া কাট আছে নাকি?’ গাউছিয়া মার্কেটের দোতলায় নিউ নীল আঁচল বুটিকস শোরুমে ঢুকে জিজ্ঞেস করছিলেন শফিকুল ইসলাম। স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে গতকাল সোমবার ঈদের কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন তিনি।
কী ভাবছেন, এবারের ঈদটা বাড়ির বাইরেই কাটাবেন? কাজের চাপে সময়ই মেলে না, তাই বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঈদের ছুটিটা যদি ঘুরেই কাটানো যায় তাহলে মন্দ হয় না। যেহেতু চৈত্র্য়ের শেষের দিকেই ঈদ হবে সেহেতু বোঝাই যাচ্ছে গরমটাও পড়বে বেশ। তাই ঘুরে বেড়ানোটা যাতে ফুরফুরে হয় তাই পোশাক–আশাকও তেমন হওয়া চাই। আবার যেহেতু উৎসব, তা
দুপুর নাগাদ ফোন করলাম জাহারা মিতুকে। নায়িকার ফোন বেজেই চলেছে। খানিক বাদে ফোন রিসিভ করে মিষ্টি কণ্ঠে বললেন, ‘কেমন আছেন?’ কুশল বিনিময়ের পর জানালেন, একটু বাদেই গুরুত্বপূর্ণ একটি রিহার্সেল আছে, তৈরি হচ্ছেন। মেকআপ নেওয়ার সুবিধার্থে এয়ারপড সংযুক্ত করে নেওয়ার জন্য সময় চাইলেন। গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে জাহারা মি
বৈশাখের শুরুতেই উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে ঈদুল ফিতর। উৎসবের দিনগুলোয় গরম থাকবে বেশ তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে কি জমকালো পোশাক আর সাজসজ্জায় ভাটা পড়বে? নিশ্চয়ই না। বিশেষ উৎসবে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই যেন সেরা হিসেবে বিবেচ্য। তবে আবহাওয়া যেহেতু অনুকূলে নেই, ফলে ঈদের দিন কোন বেলায় কেমন শাড়ি পরবেন তা নি
রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় পোশাকের দোকান ‘কাপড় ই-বাংলা’য় ঢুকেই চোখে পড়ল বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো...’। তার পাশেই শোভা পাচ্ছে কবি নজরুলের পঙ্ক্তি-‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক/দোস্ত দুশমন পর ও আপন/ সবার মহল আজ হউক রওনক।’ পুরো দোকানটি সাজানো হয়েছে রংবেরঙের
একদিকে চৈত্রের দাবদাহ, অন্যদিকে পোশাকের চড়া দাম। এবারের ঈদবাজারে এই দুটোর প্রভাব পড়ছে বেশ। দিনভর খরতাপের কারণে বেশির ভাগ ক্রেতা সন্ধ্যার পর কেনাকাটা করতে বের হচ্ছেন। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা সারতে অনেকে বিপণিবিতান ছেড়ে ঝুঁকছেন ফুটপাতের
হলিউড কিংবা বলিউডে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্র কিংবা নাম দিয়ে পণ্য তৈরি আর তা বাজারজাত করা নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু এবার বাংলাদেশেও লেগেছে তার ছোঁয়া।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে জমে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঈদবাজার। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ১৫ রোজার পর থেকে জেলার বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে।
ঈদের আগে রাজশাহীর বাজারগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। কেউ নতুন পোশাক, কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে ছুটছেন বাজারের দিকে। এবার ১০ রমজানের পর মূলত রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়।
করোনার প্রভাব কাটিয়ে দুই বছর পর খাগড়াছড়ির রামগড়ে ঈদকেন্দ্রিক ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। তৈরি পোশাক কেনার পাশাপাশি নিজের পছন্দের ষোলোআনা পাওয়ার জন্য দরজি দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।